সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫ , ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আলোচনায় জামায়াত, জমিয়ত, এনসিপি, খেলাফত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরাও ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপি’র প্রস্তুতি ছয়মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭৭৮ জন দিরাইয়ে দুই পদের বিপরীতে বিএনপির ১৬০ জনের আবেদন ‘মব’ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয় দেড় কোটি টাকার বরাদ্দে নয়ছয় জনগণের স্বার্থবিরোধী বিষয়ে কোনো ছাড় নয় : তারেক রহমান পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু জনউদ্যোগের জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন জেলা খেলাফত মজলিসের তরবিয়তী মজলিস অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদন্ড সীমান্তে চার বাংলাদেশি নাগরিক ও দুই পাচারকারী আটক শান্তিগঞ্জে ৫ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন প্রকাশ্যে চেলা নদীর বালু লুট গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প ধোপাজানে থেমে নেই বালু-পাথর লুটপাট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প কাজে আসেনি, শাল্লার পাঁচ গ্রাম অন্ধকারে ছাতকে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান : ৪টি অবৈধ ড্রেজার বিকল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, কনস্টেবল শ্রীঘরে

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপি’র প্রস্তুতি

  • আপলোড সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ১০:০৩:৪৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ১০:০৬:৪৭ অপরাহ্ন
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপি’র প্রস্তুতি
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
সে ক্ষেত্রে ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত মৌলিক কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় হিমশিম খাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বিষয়গুলো সমাধান না হলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় কাটছে না। তা ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এদিকে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো লন্ডন বৈঠকের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের দৃশ্যমান উদ্যোগ চায়।
এ নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ফেব্রুয়ারি ঘিরেই নির্বাচনি প্রস্তুত নিচ্ছে দলটি। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা : বিএনপির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৩ জুন অনুষ্ঠিত লন্ডন বৈঠকের কোনো প্রতিফলন নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছে না। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে অনেক দলের ঐকমত্যকে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার উপাদান বলে মনে করছে বিএনপি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও আইনসভায় সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবিটি সম্প্রতি ঢাকায় এক সমাবেশে জোরালোভাবে তুলেছে সংশ্লিষ্ট দলগুলো।
ইসলামী আন্দোলনের আয়োজনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ সমমনারা এ দাবি তোলে। এ দাবির বিপক্ষ অবস্থানে থাকায় বিএনপি ও তার সমমনাদের সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়নি। ২৩টি দল নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন চায়। চলতি জুলাইয়ের মধ্যে মৌলিক বিষয়গুলোয় ঐকমত্যে পৌঁছানো গেলে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী মাসের শুরুর দিকে ‘জুলাই সনদ’ অথবা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর একটি দেওয়া যেতে পারে, এমন আশা দেখিয়েছিল সরকার। বাস্তবে অনেক বিষয়ে দলগুলোর অনড় অবস্থানের ফলে জুলাই সনদ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘জুলাই সনদ’ সইয়ের আশা ছিল ঐকমত্য কমিশনের। কিন্তু এটি সেদিনই সম্ভব না-ও হতে পারে। দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিভিন্ন দাবি জানানো এবং সরকারের ওপর চাপ তৈরির কৌশল নিলেও সরকার ঠিক কী করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন আছে প্রায় সব মহলে। লন্ডন থেকে ফেরার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে কথা বলেছেন। অসমর্থিত সূত্রগুলো বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির ওই বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন ও সীমিত আকারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। যদিও সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন পরে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
এদিকে সরকারের ভিতর-বাইরে অনেকে মনে করছেন, আনুষ্ঠানিক সংলাপ ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের বাইরেও বিভিন্ন মহল নানান ইস্যুতে সংলাপের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণে প্রভাব খাটাচ্ছে। এতে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টায় গতি আনা যাচ্ছে না। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও একটা জটিলতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মোটামুটি ঐক্যের পথে থাকলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ নিয়ে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো এখনো একমত হয়নি।

নির্বাচনি প্রস্তুতি বিএনপির : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে পারে, এমনটা ধরে নিয়েই নির্বাচনি যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও আগামী সংসদ নির্বাচন ‘কঠিন’ হবে ধরে নিয়েই প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে যাঁরা এগিয়ে থাকবেন, তাঁরাই চূড়ান্ত বিচারে দলের মনোনয়ন পাবেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা ও যত্ন নিয়ে নির্বাচনি পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে ইশতেহার রচনা, প্রচারসহ সব ক্ষেত্রেই সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে চান তাঁরা।
পাশাপাশি বিএনপি একক নাকি জোটগতভাবে নির্বাচন করবে, তা নিয়েও চলছে আলোচনা। এজন্য যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে নতুন করে যে আলোচনা শুরু হয়েছে, সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার কথা বলা হচ্ছে। তবে সেটা কোন কাঠামোয় হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। বিএনপির সঙ্গে বিগত দিনে যুগপৎ আন্দোলন করেছে এমন দলগুলোকে নিয়ে জোট হবে, নাকি তাদের জন্য আসন ছাড় দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে যে দলগুলো একাত্ম হয়ে বিগত দিনে আন্দোলন করেছে, নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের অবদানের প্রতিদান দিতে চায় বিএনপি। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নির্বাচনি ইশতেহার রচনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ৩১ দফার আলোকেই নির্বাচনি ইশতেহারও করা হবে। এদিকে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি দল গোছানো, শৃঙ্খলা আনয়নসহ বিএনপিতে বিভিন্ন প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। সূত্র বলছেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এবার খুবই কঠোর অবস্থানে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ফলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন না, আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কিংবা গা বাঁচিয়ে বা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আপস করে চলেছেন এমন নেতাদের প্রার্থী করা হবে না এবার। একই সঙ্গে ৫ আগস্ট-পরবর্তী ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে যাঁরা অপকর্মে জড়িয়েছেন, যাঁদের বিতর্কিত কর্মকান্ডে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁরাও প্রার্থী হতে পারবেন না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
আলোচনায় জামায়াত, জমিয়ত, এনসিপি, খেলাফত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরাও

আলোচনায় জামায়াত, জমিয়ত, এনসিপি, খেলাফত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরাও